১. স্মার্ট টাইটেলঃ
একটি স্মার্ট আর্টিকেল লেখার জন্য সর্ব প্রথম আপনাকে যে বিষয় টি খেয়াল রাখতে হবে তা হলো একটি স্মার্ট টাইটেল। পাঠকদের কাছে আপনার কনটেন্ট কতটুকু গ্রাহ্য হবে বা কতগুলো ক্লিক পরবে, তার ৪০% নিশ্চয়তা নির্ভর করে টাইটেলের উপর। তাই খেয়াল রাখবেন টাইটেল যাতে এমন হয় যে, তা দেখে পাঠক তা পড়ার জন্য আকর্ষণ পাবে। টাইটেলের মাঝে এমন কিছু শক্তিশালি শব্দ ব্যাবহার করুন যা দেখে পাঠক ভরসা পায়। টাইটেলে সংখ্যা ব্যাবহার করবেন। যেমন ৫ টি, ৭ টি। টাইটেল খুব বড় বা খুব ছোট হবে না৷ সর্বনিম্ন ১০ এবং সর্বোচ্চ ১৫ শব্দ ব্যাবহার করুন৷ টাইটেলটি একটু ইউনিক করার চেষ্টা করুন। কমন টাইটেলে পাঠকের আকর্ষণ কম হয়। টাইটেলে অবশ্যই সঠিক বানান লিখতে হবে। আপনি যত ভালোই লিখেন, টাইটেলে বানান ভুল হলে আপনার লিখা ভালো অবস্থানে পৌছাবে না।
২. লিখার মান উন্নয়নঃ
আর্টিকেল স্মার্ট হওয়ার আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে উন্নত মানের লিখা। যা হবে বিন্যস্ত ও গোছানো। যেমন,
➤ছোট ছোট প্যারা করে লিখা। একসাথে অনেক বড় অংশ লিখবেন না৷ ভেঙে ছোট ছোট করে লিখবেন। যা পড়তে পাঠকের ভালো লাগবে৷ লিখা খুব বড় হলে সেটা পড়তে পাঠকের বিরক্ত লাগবে।
➤বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো আগে লিখবেন। কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আগে লিখলে, লিখাটা পাঠকের কাছে দামি মনে হবে না।
➤লিখার পরিমাণ বাড়াতে গিয়ে কখনোই একই লিখা একাধিকবার কিংবা কোনো অপ্রয়োজনীয় লিখা লিখবেন না। মনে রাখবেন ভালো জিনিস কমই ভালো।
➤আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার লিখার প্রত্যেকটি বানান যাতে সঠিক হয়। ভুল বানান পাঠককে বিভ্রান্ত ও বিরক্ত করে। লিখার প্রত্যেকটি স্পেস ও বিরামচিহ্ন যাতে সঠিক হয় সেটা খেয়াল রাখবেন। কোথাও একসাথে একাধিক স্পেস বা বিরামচিহ্ন দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। যেইখানে যতটুকু দরকার ততটুকুই ব্যাবহার করুন। তাহলেই পাঠক পড়ায় মনোযোগ দিতে পারবে৷
➤আপনার লিখায় অবশ্যই হেডিং ব্যবহার করুন। কোন লেখায় কতটুকু সাইজ হবে অর্থাৎ ফন্ট সাইজ খেয়াল রাখুন। এতে লেখা সুন্দর দেখায়।
মনে রাখবেন আপনার লিখা যতটা বিন্যস্ত বা গুছানো হবে পাঠক সেটা পড়ে ততটাই আরাম পাবে।
৩. বৈজ্ঞানিক যুক্তি ও গ্যারান্টিঃ
আপনার লিখার পিছনে কি বৈজ্ঞানিক যুক্তি আছে তা উল্লেখ করে নির্ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। বৈজ্ঞানিক যুক্তি পাঠকের নির্ভরশীলতা বাড়াবে। চেষ্টা করবেন কোনো সফল মানুষের উক্তি উল্লেখ ও ব্যাখ্যা করার। আর অবশ্যই সেই সফল মানুষের নাম ও পরিচয় উল্লেখ করবেন৷ লিখার মাঝে ১০০%, ৮০% বিষয় গুলো যুক্ত করবেন। যার কারণে পাঠক সেই বিষয়টির প্রতি আকর্ষণ ও আগ্রহী হবে এবং ভরসা পাবে৷
৪. গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে লিখাঃ
আপনার লিখার বিষয়বস্তু এমন হতে হবে যা পাঠকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয়। অপ্রয়োজনীয় কোনো বিষয় নিয়ে লিখলে পাঠক কেনো পড়তে যাবে? অবশ্যই আপনাকে পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী লিখতে হবে৷ যতটা সম্ভব আপডেট বিষয় নিয়ে লিখবেন। বর্তমান সময়ে কোনটা পাঠকের প্রয়োজন, কোনটা প্রয়োজন নয় সেই বিষয়টি মাথায় রাখবেন। আপনার লিখায় নতুন নতুন বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করবেন।
৫. ছবি বা ভিডিও যুক্ত করাঃ
আপনি যেই বিষয় নিয়ে লিখছেন সেটার ছবি বা ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এক্ষেত্রে লিংক বা আইকন ব্যাবহার করতে পারেন। ছবি বা ভিডিও যুক্ত করলে বিষয় টি পাঠকের বুঝতে সুবিধা হবে৷
৬. লিখার স্পষ্টটা ও পরিমাণঃ
সর্বশেষ যেই বিষয় টি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে লিখার স্পষ্টতা ও পরিমাণ। আপনার লিখা একদম স্পষ্ট ও পরিষ্কার ভাষায় লিখতে হবে৷ লিখা পড়ে যেনো পাঠকের এটা মনে না হয় যে লিখায় স্পষ্টতা নেই। কোনোভাবেই পাঠক কে বিভ্রান্ত করা যাবে না। তাহলে আপনি পাঠকের বিশ্বাস হারাবেন। যতটা সম্ভব সহজ ভাষায় লিখবেন। খেয়াল রাখবেন লিখাটি যাতে পাঠকের বোধগম্য হয়। একটি আর্টিকেল খুব বেশি বড় বা খুব ছোট করা যাবে না৷ সর্বনিম্ন ৫০০ ও সর্বোচ্চ ২০০০ শব্দের হতে হবে। আপনার লিখা ৫০০ শব্দের কম হলে ভালো অবস্থানে র্যাংক করবে না। আর ২০০০ শব্দের বেশি হলে পাঠক লিখা পড়তে চাইবে না। এই বিষয় গুলো মাথায় রেখে লিখলে আপনার লিখা অবশ্যই ভালো অবস্থানে পৌছাবে।